- ব্যঞ্জন বর্ণমালার পঞ্চদশ বর্ণ,
- ট বর্গের পঞ্চম, অনুনাসিক বর্ণ।
- মূর্ধা ইহার উচ্চারণ স্থান বলিয়া ইহা মূর্ধন্য বর্ণ।
- ইহার প্রকৃত উচ্চারণ ন ও ড় র মাঝামাঝি এবং অনেকটা "ড়ঁ"র মত। বাংলা ভাষায় ইহা বিশুদ্ধ "ন" এর মত উচ্চারিত। এইজন্য সমোচ্চার্য্য দুই অনুনাসিকের মধ্যে পার্থক্য জ্ঞাপনার্থ বাংলায় ণ কে "মূর্ধন্য ণ" এবং ন কে "দন্ত্য ন" বলে। সংস্কৃত, হিন্দি, মহারাষ্ট্রী, তেলুগু ইত্যাদি ভাষায় ণ ও ন এই বর্ণদ্বয়ের উচ্চারণ মাত্রেই পার্থক্য বুঝা যায় সুতরাং বানানে ভুল হয় না।
ণকারাদি শব্দের ব্যবহার আধুনিক বাংলায় নাই। প্রাকৃত বাংলায় ণ ও ন নির্ব্বিচারে ব্যবহৃত ও 'ন' স্থলে 'ণ' দৃষ্ট হয়। মধ্যযুগের বাংলায় বিরল ব্যবহার দৃষ্ট হয়। যেমন "ণত্ব ণয়ে জ্ঞান ণত্ব ণকারে নির্ণয়। ণস্বরূপা রক্ষা কর ণ হইলে ক্ষয়"-ভারতচন্দ্র। যেমন-
- জাণোঁ (জানোঁ);
- দাণ (দান);
- ণান্বিল (নামিল);
- ণই (নদী);
- ণউ নউ (নব নব);
|
- ণগ্ন (নগ্ন);
- ণব (নব);
- ণহিঁ (নহি);
- ণানা (নানা);
- ণাদ (নাদ);
|
- ণাম (নাম);
- ণাল (নাল);
- ণাহ (নাথ);
- ণাহি (নাহি);
- ণি অড় (নিকট);
|
- ণিত্ত (নিত্য);
- ণিরক্ষর (নিরক্ষর);
- ণিরোধ (নিরোধ);
- ণির্ব্বাণ (নির্ব্বাণ);
- ণিসার (নিঃসার)
|
প্রাকৃত বাংলায় ষষ্ঠী বিভক্তি চিহ্ন। যেমন-
- জাণ > জাঁর = যাঁর (যাঁহার),
- তাণ > তাঁর (তাঁহার)
তথ্যসূত্র