ন বাধতে স্কন্ধো যথা বাধতি বাধতে
বাংলা
সম্পাদনাপ্রবাদ
সম্পাদনান বাধতে স্কন্ধো যথা বাধতি বাধতে
- দেবরাজ ইন্দ্রের অনুপস্থিতিতে নহুষকে স্বর্গের রাজা করা হয়েছিল; ইন্দ্রত্ব পেয়ে নহুষ খুব অহংকারী হয়ে পড়েন; অহংকারী হয়ে রাজা ঋষিবাহিত পালকি চড়ে পরিভ্রমণ করতেন; একদিন পথে ডুলিবাহক ঋষিরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে রাজা বলেন- 'ক্ষণং বিশ্রম্যতাং জাল্ম স্কন্ধোস্তে যদি বাধতি' অর্থাৎ বাহকগন কাঁধে যদি বেদনা বোধ কর তবে কিছুক্ষণ বিশ্রাম কর; প্রত্যুত্তরে বশিষ্টমুনি উপরের উক্তিটি করেন; তিন বলেন-রাজন কাঁধে ততটা বেদনাবোধ করছি না যতটা অশুদ্ধ 'বাধতি' শব্দটিতে কানে বেদনা পেয়েছি; এই উক্তির দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি হলো- রাজা বিক্রমাদিত্য রাজ্য পরিক্রমায় বেরিয়েছেন; পথমাঝে একবাহক অসুস্থ হয়ে পড়লে পথচলতি একজনকে ধরে নিয়ে ডুলিতে জুড়ে দেওয়া হয়; অনভ্যস্ত ব্যক্তির চলতে অসুবিধা হওয়ায় রাজা প্রবাদ বাক্যটি বলেন; প্রত্যুত্তরে লোকটি মুনির উক্তিটি করেন; চমৎকৃত রাজা দ্রুত ডুলি থেকে নেমে এসে লোকটির কাছে পরিচয় জানতে চান; কুণ্ঠিত লোকটি বলে, 'আমি কেউ নই, আমি শুধু এক কবি'; এই কবি আর কেউ নন, তিনি হলেন স্বয়ং মহাকবি কালিদাস; রাজা বিক্রমাদিত্য কালিদাসকে নিয়ে রাজসভায় ফিরে গিয়ে তাঁকে শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করান।