অবাঞ্ছিত ব্যাপার; যে সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠেছে; (উৎসকাহিনী- এক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মন্ত্রপড়ার সময় পুরোহিত যজমানকে এই নির্দেশ দেন যে তিনি যা বলবেন যজমানও যেন তাই বলেন; পুরোহিতের কথায় মাত্রাদোষ ও মুদ্রাদোষ, দুইই ছিল; ফলে তিনি যখন মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন তখন তাঁর উচ্চারিত মন্ত্রের সাথে মাত্রা ও মুদ্রাদোষজনিত অকথ্য কথাও যুক্ত হচ্ছিল; যজমান নির্বিচারে সেগুলি উচ্চারণ করে যাচ্ছিলেন; পুরোহিত এতে ক্রুদ্ধ হন; মেজাজের ব্যাপারে যজমানেরও সুখ্যাতি ছিল না; ফলে পুরোহিতের মেজাজের সাথে যজমানের মেজাজও সমানতালে চড়তে থাকে; উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়; প্রথমে মুখেমুখে ঝগড়া শুরু হয়; ক্রমে সেটি হাতাহাতিতে এবং জড়াজড়ি গড়ায়; চূড়ান্তপর্যায়ে গড়াতেগড়াতে উভয়ে গোবর ছড়ান শ্রাদ্ধানুষ্ঠান স্থান থেকে বাইরে এসে পড়েন; যজমানের স্ত্রী শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন; এমনকাণ্ড তিনি কখনো দেখেন নি; দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে যান; তিনি বলেন- শ্রাদ্ধ যে এত দূর গড়াবে তিনি তা অনুমান কর’তে পারেন নি; জানলে তিনি অনুষ্ঠানস্থলের আরও কিছুদূর গোময় করে রাখতেন; এই ঘটনাকেই প্রবাদে ‘শ্রাদ্ধ গড়ানো’ আখ্যা দেওয়া হয়; কোন ঝগড়াঝাটি চূড়ান্তপর্যায়ে পৌঁছালে প্রবাদটি উচ্চারণ করা হয়।)